Dipu Chowdhury
Tuesday, January 5, 2021
#myselfdipu #অপেক্ষায় waiting for unknown queen.
Friday, December 25, 2020
গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে আপনার যা জানা উচিত এবং এর বিজয়ের সুসংবাদ এবং এতে নেতৃত্ব দিবে সেই নেতার পরিচয়।*
*গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে আপনার যা জানা উচিত এবং এর বিজয়ের সুসংবাদ এবং এতে নেতৃত্ব দিবে সেই নেতার পরিচয়।*
(এই পোস্টটি সব সময় আপডেট হতে থাকবে)
"গাজওয়াতুল হিন্দ" (غزوة هند) এটি আরবি শব্দ। আর উর্দুতে গাজওয়াহ এ হিন্দ বলে।
গাজওয়া অর্থ "যুদ্ধ", আর হিন্দ হচ্ছে "একটি নির্দিষ্ট এলাকা"র নাম। হিন্দ বলতে এই ভারত উপমহাদেশকে বুঝিয়েছে। সিন্ধ নদী থেকে এই এলাকা শুরু হয়েছে যা
গাজওয়াহ এ হিন্দ নামক পুরানো একটি বই থেকে পাওয়া যায়। আর এতে বাংলাদেশ সহ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভুটান, নেপাল সহ পূর্বের অনেক গুলী দেশকেই একত্রে বুঝায়।
গাজওয়াতুল হিন্দ অর্থ "হিন্দের যুদ্ধ"। মূলত হিন্দ নামক জায়গায় এটি সংঘঠিত হবে তাই এই নাম দেওয়া হয়েছে। এরকম নামেই আগের সেই সংঘঠিত যুদ্ধ গুলো বলা হয় যেমন বদরের যুদ্ধ "গাজওয়াতুল বদর" এর নাম করনও হয় বদর জায়গায় যুদ্ধটি সংঘঠিত হওয়ার কারনে। এবং এটি আমাদের নবী (ছঃ) ১৪০০ বছর আগে বলে গিয়েছেন। এরকম আরো কিছু যুদ্ধের কথা নবী (ছঃ) বলে গেছেন যা অন্যান্য জায়গাকে, অন্যান্য গোত্রকেও উদ্দেশ্য করে আর তা এখনও সংঘঠিত হয়নি। যেমন সুফিয়ানির বাহিনীর সাথে যুদ্ধ, তুর্কিদের সাথে যুদ্ধ, দাজ্জালের বাহিনীর সাথে যুদ্ধ ইত্যাদি।
১। *আগে তো অনেক যুদ্ধ হয়েছে এই হিন্দে(হিন্দ এলাকায়), এটা কি হয়নি?*
উত্তরঃ এটি এখনও সংঘঠিত হয়নি। কিন্তু আগে থেকে এই হিন্দের জায়গায় মুসলিমদের সাথে অনেক যুদ্ধ হয়েছে। আর মুসলিমরা ইংরেজদের আসা পর্যন্ত শাসন করেছে।
তবে এখানে সেই যুদ্ধের কথা বলা হয়নি। কারণ, এই যুদ্ধটির পর আর হিন্দুরা মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না। আর হিন্দুদের রসম রেওয়াজ থাকবে না হাদিসে বলা হয়েছে।
২। *তো কবে হবে এই যুদ্ধ?*
উত্তরঃ এটি কবে হবে, কোন সময় তা হাদিসে স্পষ্ট করেনি তবে ইঙ্গিত দিয়েছে। তো এটা কবে তা জানার জন্য ইলহামী কবিতাকে আনা যায় সময় জানার জন্য।
আর এরপরই রিসার্চ করে পুরানো হাদিস ও ফিতনা ও মালাহাম সম্পর্কিত গ্রন্থ, তারিখের(ইতিহাস) কিতাব থেকে মিলিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। আর ২০১৮ সালে আরেকটি ইলহামি কবিতা এগুলোর সত্যায়ন করে যাতে এই সব বিষয় গুলো পরিষ্কার হয়েছে। এই সব ইলহামি কবিতা খুজে না পাওয়া গেলে এটি কোন সময়, কোন পরিস্থিতি এলে ঘটবে তা বোঝা মুশকিল হয়ে যেত। আর হাদিসে এইসব ইলহামি তথ্যের সাথে সাঙ্ঘরশিক কিছুই পাওয়া যায় না বলে এটিতে আরো জোরালো ভাবে বিশ্বাস করা যায় এবং এগুলো আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে সত্যায়ন করে। দুইটি ইলহামি কবিতা শাহ্ নেয়ামাতুল্লাহ এর কাসিদা ও আস-শাহ্রান এর আগামি কথন(২০১৮)।
এইসব জানার পরই বলা যায় এটি সামনেই ঘটতে চলেছে। এরপর থেকেই আমাদের এই খোজ শুরু। এখন আরো তথ্য দিয়ে প্রমান, যুক্তি দেওয়া সম্ভব যাতে মানুষ সত্যটা বুঝতে পারে।
এই যুদ্ধে মুমিনদের আগেই বিজয়ের সুসংবাদ দিয়েছে। আগের সংঘঠিত বিজয়ী হওয়া জিহাদগুলো দেখলেই বুঝা যায় যে তাতে আল্লাহর একজন মনোনীত বান্দা থাকতো যিনি দিক নির্দেশনা দিত এবং তার ফলেই বিজয় আসতো। আর এই যুদ্ধেও আল্লাহর মনোনীত বান্দা বা ইমাম থাকবেন যিনি এতে নেতৃত্ব দিবেন ও দিক নির্দেশনা দিবেন।
সবার এই বিষয়ে জানা উচিত কারণ এই যুদ্ধে বিজয়ের পাশাপাশি কোটি মানুষ হত্যা হবে যারা এই সম্বন্ধে বেখেয়াল, মুনাফিক, নামে মুসলিম। আর তা কোথায় হবে তাও হাদিস ও ইলহামি কবিতার বর্ণনায় পাওয়া যায়।
যারা ইসলামের মধ্যে পুরোপুরি ঢুকেছে তারাই এই জিহাদী তামান্না রাখে। আর যারা রয়েছে বেশির ভাগই নামে মুসলিম ও মুনাফিক। মুসলিম হয়ে জন্ম হলেও তারা পরবর্তীতে কাফির ও মুশরিক হয়ে গেছে। আর তারা এখনও প্রথম ফরজ নামাজ না পড়েও নিজেকে মুসলিম দাবি করে আর এটা শুধু তার নিজেকে নিজে সান্তনা দেওয়া।
সামনেই তাদের পরিণাম ভয়াবহ হবে। আর এখন অনেকেই বুঝতে পারছে যে সামনে কি হতে চলেছে এই হিন্দু মালায়নদের প্ল্যানিং দেখে। সারা বিশ্বে মুসলিম নিধন দেখে। আর মহা নবী (ছঃ) এর হাদিসের বাস্তবায়ন দেখে। আজ নিধন চললেও, সারা বিশ্বে নতুন করে মুসলিম হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। আর তারা বুঝতে পেরেছে এই সব।
`
আমি আপনাকে তথ্য দেওয়ার আগে এইগুলো কথা নিজ থেকে বলতে চাই।
__________________________________________________
তো এই সম্পর্কে আপনাকে জানতে হলে আগে যেগুলো জানা দরকার শুরু থেকেঃ
১। ইসলাম একমাত্র মনোনীত সত্য ধর্ম।
২। ইসলামে জিহাদ একটি ফরজ বিধান। এটি সর্বোচ্চ আমল।
৩। ইসলামে যুদ্ধকে ফরজ করা হয়েছে।
৪। জিহাদ ত্যাগকারী ও তামান্না না রাখনে ওয়ালা মুনাফিক হিসেবে মৃত্যু হয়।
৫। নামাজ যে পড়ে আর যে পড়েনা তাদের মধ্যে সম্পর্ক হলো একজন মুমিন ও কাফির।
৬। জিহাদ যে করে আর যে করেনা তাদের মধ্যে সম্পর্ক হলো একজন মুমিন ও মুনাফিক।
৭। মুনাফিক জিহাদকে অস্বীকার করে।
প্রথমে যা করনীয়ঃ
১। ইসলামে পুরোপুরি ভাবে ঢুকতে হবে।
২। সহিহ আকিদা সম্পর্কে জানতে হবে ও শিরক থেকে বাচতে হবে।
৩। তওবা করে ফিরতে হবে ও গোনাহ থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
৪। ইসলামের জন্য কাজ করা ও জিহাদকে নামাজের মত একটি ইবাদত মনে করা।
৫। দীনি ইলম অর্জনে করা ও তাতে নিহিত হওয়া।
আলহামদুলিল্লাহ্, অনেকেই আছে যাদের এগুলো ঠিক আছে এবং তারা এই যুগের গুরবা(অপরিচিত) আর তারা এই সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন এবং তারা একজন আসল মুমিন এর মত ইসলামকে মেনে চলে বা চলার চেষ্টা করে ও মুসলিম উম্মাহ এর ব্যথাকে অনুভব করে।
__________________________________________________
এবার আমাদের দেওয়া তথ্য গুলো সিরিয়ালভাবে দেখতে পারেনঃ
*তথ্য*
----
ইলহাম কি, এ সম্পর্কে জানতেঃ
ইলহাম সত্য এবং সহীহ দলিল দ্বারা প্রমাণিত- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/130204821752572
যারা ইলহামের বিষয়ে বিশ্বাস করেনা তাদের এই দলিলটি দেখাতে পারেন- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/117552703017784
ইলহামি কবিতাঃ
কাসিদা পোস্ট আকারে ব্যাখ্যা সহ- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/120181876088200
আগামি কথন ব্যাখ্যা ছাড়া- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/121575332615521
আগামি কথন ব্যাখ্যা সহ- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/121579522615102
যুক্তির আলোকে- (আস্-শাহরান)- এর "আগামী কথন" এবং তাতে মুসলিম উম্মাহর দৃষ্টিভঙ্গি ও করনীয়- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/116016696504718
এই যুদ্ধের ইমাম ও সেনাপতি সম্পর্কে পাওয়া হাদিসগুলিঃ
ইমাম মাহমুদ ও সাহেবে কিরান এর সম্পর্কিত হাদিস-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/121577695948618
সকল হাদিস- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/114952869944434
ইমাম মাহমুদ সম্পর্কে আরো দুইটি হাদিছ,যা ইতপুর্বে পড়েন নি-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/118154132957641
ইমাম মাহমুদ তার জন্মস্থান নিয়ে একটি প্রমান-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/118889166217471
__________________________________________________
বই(পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে)
------------------------
আমাদের সবগুলি বই- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/116009153172139
কিতাবুল ফিতান- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/117756242997430
কিতাবুল ফিরদাউস- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/116173213155733
বই(ছবি আকারে)
---------
আখীরুজ্জামান গবেষণা ও তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ (১ম সংস্করণ)- https://www.facebook.com/media/set/?set=a.113201730119548
কাসিদা বা কাসিদায় সউগাত,(ইলহামি ভবিষ্যৎবাণী)-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/113222833450771
আগামি কথন ব্যাখ্যা সহ -আস শাহরান- https://www.facebook.com/media/set/?set=a.114495046656883
গাজওয়াতুল হিন্দ -কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/115125629927158
হাদিসের বইগুলোঃ
কিতাবুল ফিতান (সম্পূর্ণ বাংলায়)
ছবি- https://www.facebook.com/media/set/?set=a.121022256004162
পোস্ট- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/121022259337495
_________________________________________________
*আলোচনাঃ*
-------
বর্তমান পরিস্থিতি- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/118994506206937
সামনে যা ঘটতে চলেছে- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/122105239229197
আসছে ধেয়ে ফিৎনার কালো ছায়া [১]- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/122442012528853
আমাদের দেওয়া হাদিসের কিতাবগুলীর একটি বাজারে-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/117567843016270
ইমাম মাহদি এর আগেই আসবেন ইমাম মাহমুদ-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/113488036757584
যুগে যুগে নবীদের ও সকল আওলিয়া ইমাম, সতর্ককারী ও মুমিন-ইমানদার বান্দাদেরকে নিয়ে বিদ্রূপ করা হয়েছে-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/120972926009095
হিন্দুস্থান এর যুদ্ধ নিয়ে সুনানে নাসাই এর হাদিস-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/121988479240873
হিন্দুস্থান এর যুদ্ধ কবে হবে, কত বার হবে নিয়ে বিতর্ক ও তার সঠিক ব্যাখ্যা-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/127316445374743
ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান এর নেতৃত্বে গাজোয়াতুল হিন্দ হবার পর আবারো ইমাম জাহজাহ এর শাষনামলে কিভাবে হিন্দুস্থান ইহুদীগন দখল করে নিবে??- https://www.facebook.com/651792828665146/photos/a.652872295223866/676642799513482/
হিন্দুস্থান এর যুদ্ধ সম্পর্কে কিছু বিতর্কিত হাদিছ ও তার সঠিক ব্যাখ্যা-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/118789446227443
যারা হাদিস নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করে- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/121793585927029
ইমাম মাহদী ও হযরত ইসা (আঃ) এর আত্নপ্রকাশ একই সময়ে বা যুগে হবে না। ইমাম মাহদীর মৃত্যুর পর কারা পর্যায়ক্রমে খলিফা হবেন-
১। পোস্টঃ https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/118551736251214
২। পোস্ট ভিডিওঃ https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/118818599557861
৩। সরাসরি ইউটিউবঃ https://www.youtube.com/watch?v=6M07hyRGNO4
ইমাম মাহদি এর পিছনে ঈসা (আঃ) নামাজ পড়বেন এটি যারা বলে তাদের জন্য মূল হাদিসটি যাতে তা লিখা নেই -
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/115171136589274
ইমাম মাহমুদ কেনো বন্দী হলেন?- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/121771832595871
ভন্ড ইমাম মেহেদীর আত্নপ্রকাশ প্রসঙ্গে-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/123574515748936
আগামী কথন এর দাব্বাতুল আরদ এর বর্ননা নিয়ে মতবিরোধের সমাধান-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/125920952180959
পারমাণবিক যুদ্ধ ও আধুনিকতার ধ্বংশ নিয়ে কুরআন ও হাদিসের ভবিষ্যৎ বানী!-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/125209655585422
ফিতনা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ হাদিসের কিতাবগুলি-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/127765198663201
আমাদের আসতে চলেছে বইয়ের একটি সূচী ধারণা-
https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/122803892492665
ফিতনার যুগে করনীয় কি- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/117962962976758
*ধারাবাহিক পোস্ট*
----------
আগামী কথন থেকে জানা সকল ভবিষ্যৎ বানীর একটা মুল অংশকে ৩৫ টি পয়েন্টে ভাগ করা হয়েছে এবং তার প্রতিটির ব্যাখ্যা ও দলীলঃ
১ম পর্ব দেখতে- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/127074648732256
২য় পর্ব দেখতে- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/127946975311690
৩য় পর্ব দেখতে- https://www.facebook.com/mahmudgazwatulhind/posts/129671871805867
(পরের গুলো আসছে)
Monday, December 21, 2020
নোয়াখালীর ইতিহাস । গান্ধীর ছাগল চুরি । হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা এর মুল ঘটনা। ভারত / বাংলাদেশ ।
৪৭এ গান্ধীর ছাগল চুরি ও নোয়াখালী দাঙ্গার পোষ্টমর্ডাম!
জাতি সচেতন এক দাদার সাথে হঠাৎ দেখা হলো। খুব ভাব নিয়ে গান্ধীর ছাগল চুরির বর্ণনা দিয়ে আসছেন। আমি তাকে বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করলাম, গান্ধী কেন নোয়াখালী গিয়েছিলেন?
তিনি একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন। আমি তাকে বললাম নোয়াখালী মনে হয় সেসময় এখনকার কক্সবাজারের মতো ছিল। আপনার মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালীতে হাওয়া খেতে এসেছিলেন। সেসময় নোয়াখাইল্যারা তার ছাগল চুরি করেছিলো। এমন কিছু? তিনি আর কিছু বললেন না।
যাই হোক মহাত্মা গান্ধী যাকে বলা হয় তার নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তাকে অনেকে মহান আত্মার অধিকারী মনে করেন বিধায় তাকে মহাত্মা বলে থাকেন। আমার কাছে তাকে নিচু আত্মার বলেই মনে হয় বলে আমি কখনোই তাকে মহাত্মা বলি না। সে যাই হোক তার কথা পরে হবে। কেন সে নোয়াখালী গিয়েছিল? কেনইবা তাকে ছাগল হারাতে হয়েছিল? এসব বিষয় প্রাসঙ্গিকভাবে আসবে। তার আগে আমরা অন্য একটা বিষয়ে দৃষ্টিপাত করি।
নোয়াখালীতে ১৯৪৬ সালে একটি দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হয়। ভয়াবহ দাঙ্গা। এটি ইতিহাসে নোয়াখালী রায়ট/দাঙ্গা নামে পরিচিত। ইংলিশে এই লিখে সার্চ করলে অনেক আর্টিকেল পাবেন। বাংলায়ও পেতে পারেন। উইকিতেও বেশ ভালো আর্টিকেল আছে এই নিয়ে। আপনি যদি সেগুলো পড়েন তবে আপনি এক তরফা একটি ইতিহাস পাবেন যেখানে বলা হয়েছে হিন্দুদের প্রতি ভয়াবহ নির্যাতনের কথা।
অথচ বর্তমানে নোয়াখালীর অনেকেই সেই দাঙ্গার কথা জানেন না। না জানার কারণ এই ইতিহাস নিয়ে কারো লিখার দরকার হয়নি। যেহেতু এখানে হি*ন্দুদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে তাই তারাই এটা নিয়ে গবেষণা করেছে। দাঙ্গার কিছুদিন পরেই নোয়াখালী পাকিস্তানের অন্তর্গত হওয়ায় মুসলিমরা এই অঞ্চলে জয়ী হয়ে যান।
নোয়াখালীতে দাঙ্গার সূত্রপাত নোয়াখালীতে নয়। মুসলিম লীগের নেতৃত্বে মুসলিমরা পাকিস্তান দাবী করেছে আর অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে হিন্দুরা একক ভারতের জন্য দাবী জানাচ্ছে। এই নিয়ে হি*ন্দু মুসলিম দাঙ্গা লেগেছে কলকাতায়। তারই সূত্র ধরে বিহারে শুরু হয়। কলকাতায় হি*ন্দু-মুসলিম সমান সমান ছিলো বলে পরিস্থিতি অতটা নাজুক হয়ে পড়ে নি। তবে বিহারে মুসলিমদের অবস্থা হচ্ছিলো অত্যন্ত করুণ।
এখন যেভাবে আরাকান থেকে রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে। সেসময় বিহার হতে নোয়াখালীতে ঢল নেমেছিলো। নোয়াখালী যদিও একেবারে মুসলিম অধ্যুষিত ছিল না, তবে নানান কারণে নোয়াখালীতে বিহারীরা এসেছিলো। এর অন্যতম কারণ নোয়াখালীর মুসলিমরা অন্য মুসলিমদের মতো অসচেতন ছিল না। তারা ছিলেন রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন। এর কারণ এখানে ওহাবী আন্দোলন এবং হাজী শরীয়ত উল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল।
বিহারীরা নোয়াখালীতে আসার আরেকটি কারণ ছিল গোলাম সরোয়ার হুসেইনী। তাঁর বাড়ি বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার শামপুরে। তিনি ছিলেন পীর পরিবারের। তারা বংশানুক্রমিকভাবে মুসলিমদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি নির্যাতিত বিহারীদের নোয়াখালীতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই লক্ষ্যে তাদের নিরাপত্তা ও আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য একটি বাহিনী তৈরি করেন। এটি মিয়ার ফৌজ নামে পরিচিত ছিল।
গোলাম সরোয়ার হুসেইনী রাজনৈতিক লোক ছিলেন। তিনি ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে কৃষক প্রজা পার্টির নমিনেশন নিয়ে বঙ্গীয় আইন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হন। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
যাই হোক গোলাম সরোয়ার সাহেব বিহারীদের আশ্রয় দিচ্ছিলেন পাশাপাশি বিহারে ও কলকাতায় দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। কিন্তু তার সেই প্রচেষ্টায় সাড়া দেয়নি কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ। তিনি সবার কাছে চিঠি লিখেন এবং নির্বিচারে মানুষ হত্যার সমাধান চান। কেউ সমাধানে জোরালো ভূমিকা রাখেন নি। তিনি খুবই হতাশ হয়েছিলেন।
এদিকে রায়পুরের হি*ন্দু জমিদার চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরী নোয়াখালীতে বিহারীদের এই অনুপ্রবেশ পছন্দ করছিলেন না। তিনি বিহারীসহ মুসলিমদের আগমন ঠেকানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন রায় চৌধুরীর এই আচরণ সরোয়ার সাহেবকে ব্যাথিত করেছিলো। তিনি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জমিদার তা মানতে নারাজ। জমিদার কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন। সরোয়ার সাহেব তাই গান্ধীকে খবর জানালেন যাতে তিনি জমিদারকে তার নিষ্ঠুর আচরণ থেকে বিরত রাখেন। গান্ধী তার আহ্বানকে পাত্তা দিলেন না। এদিকে জমিদার নোয়াখালী থেকে সকল বহিরাগত মুসলিমকে উচ্ছেদের অভিযানে নেমেছেন।
সরোয়ার হুসেইনী কারো থেকে কোন সাহায্য না পেয়ে অবশেষে তিনি তার আস্তানা সামপুরের দিয়ারা শরীফে তার ভক্তদের ও মুসলিমদের এক সমাবেশ ডাকলেন। সেখানে তিনি মুসলিমদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং চিত্তরঞ্জনের রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানান।
সকল মুসলিম তার আহবানে সাড়া দেয়। চিত্তরঞ্জনকে অবরোধ করে মুসলিমরা। সে বৃটিশ পুলিশ, আগ্নেয়াস্ত্র, তার পেয়াদা বাহিনী, হিন্দু জঙ্গী, কংগ্রেস কর্মী ও জলকামান দিয়েও সেদিন মুসলিমদের আটকাতে পারেনি। অবশেষে সে তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে এবং নিজে আত্মহত্যা করে। সরোয়ার সাহেবের এই অভিযানে তাঁকে সহায়তা করেন জনৈক মুসলিম লীগ নেতা কাশেম। সরোয়ার সাহেবের বাহিনীর নাম মিয়ার ফৌজ আর কাশেমের বাহিনীর নাম ছিল কাশেম ফৌজ।
জমিদারের পতনের পর তারা পুরো নোয়াখালীতে কয়েকটিভাগে ভাগ হয়ে হিন্দু উচ্ছেদে নেমে পড়েন। এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটনা প্রবাহ পাল্টে যায়। এবার হি*ন্দু শরনার্থীদের ঢল শুরু হয় নোয়াখালী থেকে। এতক্ষণে টনক নড়ে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর। তিনি মুসলিম নেতাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন সরোয়ার হুসেইনীকে থামানোর জন্য। কিন্তু কোন মুসলিম নেতার কথা এমনকি তার দলের প্রধান বরিশালের এ কে ফজলুল হকের কথাও শুনেন নি সরোয়ার সাহেব। কারণ এতদিন কেউ তাকে কোন সহায়তা করেনি।
অবশেষে তাকে থামানোর জন্য গান্ধী নিজেই এসেছিলেন নোয়াখালীতে। নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কংগ্রেসের উদ্যোগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। ইতিমধ্যে সরোয়ার হুসেইনী ঘোষণা দিয়েছেন তিনি পুরো বাঙলা থেকে হি*ন্দুদের উচ্ছেদ করবেন। গান্ধী এসে সরোয়ার সাহেবের সাথে সেখা করতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকৃতি জানান। পরে রাজি হন।
গান্ধী যেখানেই যান সেখানেই তিনি একটি ছাগল নিয়ে যান। তিনি সেই ছাগলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রেখেছিলেন। সরোয়ার সাহেবের আস্তানায় প্রবেশ করা মাত্রই তার ছাগল হস্তগত করেন মিয়া ফৌজের লোকেরা। যখন সারোয়ার সাহেবের সাথে তার কথা হচ্ছিলো তখনই রান্না করা ছাগল উপস্থাপন করা হয় গান্ধীর সামনে। এটা ছিল সরোয়ার সাহেবের একটি থ্রেট। গান্ধী সরোয়ার সাহেবের এই আচরণেই আন্দাজ করতে সক্ষম হয় নোয়াখাইল্লারা কী জিনিস!
সরোয়ার সাহেব গান্ধীকে বলেন, আপনি ভুল স্থানে এসেছেন। দাঙ্গার সূত্রপাত এখানে নয়। আপনাকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি বিহারে ও কলকাতায়। আপনি এসেছেন নোয়াখালীতে। যেদিন কলকাতায় ও বিহারে সংঘর্ষ বন্ধ হবে সেদিন নোয়াখালী ঠান্ডা হয়ে যাবে। গান্ধী অনুরোধ করেছেন তিনি চেষ্টা চালাবেন এই সময়ের মধ্যে নোয়াখালীতে যাতে হি*ন্দু উচ্ছেদ বন্ধ থাকে। সরোয়ার সাহেব বলেছেন আপনি কি আমাকে এই নিশ্চয়তা দিবেন আমি বন্ধ করার সাথে সাথে বিহারে ও কলাকাতায় বন্ধ হবে?
গান্ধী নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। সরোয়ার হুসেইনী বললেন তাহলে আমাকে আপনি কোন অনুরোধ করার যোগ্যতা রাখেন না। আমি আপনার নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত নই। আমি আপনাকে নোয়াখালীতে আহ্বান করিনি। সরোয়ার সাহেবের হুমকিতে গান্ধী কাজ শুরু করলেন। তিনদিনের মধ্যে পুরো ভারতে দাঙ্গা বন্ধ হলো। একথা সরোয়ার সাহেবের কাছে স্পষ্ট ছিলো গান্ধীর হাতেই সকল চাবিকাঠি। সেই সকল দাঙ্গা লাগাচ্ছে এবং মুসলিমদের হত্যা করছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)